প্রধান শিক্ষক এর বাণী

মোঃ আবুল বাশার, নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জের রামপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে ১৯৫০ সালের ১ মে তারিখে  এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতার নাম- আবদুল আলী, অবিভক্ত ভারতের কলিকাতা বন্দরে ১৯৪০ সন হইতে কন্ট্রাক্টর ছিলেন, আর মাতা-মাফিয়া খাতুন ছিলেন গৃহীনি।

জনাব আবুল বাসার ১৯৭৫ সালে দাগনভুঞা থানার জগতপুর গ্রামের বিলকিছ আরা বেগম কহিনুর এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বর্তমানে তিনি ২ মেয়ে ও ১ ছেলের জনক। একমাত্র ছেলে মেছবাহ উদ্দিন রাসেল দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতোকোত্তর সম্পন্ন করে বর্তমানে স্বস্ত্রীক জার্মানিতে বসবাস করছেন।

অধ্যক্ষ মো: আবুল বাসার বাল্যকালে বাড়ীর পার্শ্বের মক্তবে আরবি শিক্ষার মাধ্যমে লেখাপড়ার জীবন শুরু করেন। ১৯৫৯ সনে বামনী প্রাথমিক বিদ্যালয় হইতে ৫ম শ্রেণী পাশ করার পর কোম্পানীগঞ্জের বামনী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৫ সনে এস.এস.সি পরীক্ষায় পাস করে, ১৯৬৫ সনে পুর্ব পাকিস্তানের প্রথম  শ্রেণীর বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন, ১৯৬৭ সনে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ঐ বছরই চট্টগ্রাম কলেজে ডিগ্রী ক্লাসে ভর্তি হয়ে ১৯৬৯ সনে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৬৯ সনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে ভর্তি হয়ে ১৯৭০ সনে ১মপর্ব পরীক্ষার পর ১৯৭১ সনে মহান মুক্তিযুদ্ধে শরীক হওয়ায় ২য় পর্বের বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে পারেননি। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হইতে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে এম.এ ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৯৩ সালে বিএড ডিগ্রী লাভ করেন। ইন্টারমেডিয়েট থেকে ইউনিভার্সিটি পর্যন্ত তার শিক্ষার মাধ্যম ছিল ইংলিশ মিডিয়াম।

এম এ পরীক্ষার পর পর ১৯৭৩ সনের মে মাসে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম কলেজে রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক পদে যোগদানের মাধ্যম তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৮১ সনে সৌদি আরবে হেনজিন ট্রেন্সপোটেশন কোম্পানীতে প্রশাসনিক পদে যোগদান করেন। তিনি দেশে ফিরে ১৯৮৮ সনে বসুরহাট ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক পদে যোগদান করেন।  পরবর্তীতে ১৯৯০ সনে মধ্য চরকাঁকড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করে ২০১০ সনের ৩০ এপ্রিল তারিখে সফল প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসর গ্রহন করেন। ২০১০ সনের মে মাস থেকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেকায়েপ প্রকল্পে উপজেলায় পি.টি.এ সদস্যগণের ওরিয়েন্টেশন পরিচালনার জন্য রিসোর্স পার্সন পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে একই বছরের  সেপ্টেম্বর মাস
পর্যন্ত প্রকল্পে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি ২০১০ সনের অক্টোবর মাস হইতে আজ পর্যন্ত জৈতুন নাহার কাদের মহিলা কলেজে প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ পদে কর্মরত আছেন। কলেজটি বিশিষ্ট শিল্পপতি, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,জনাব মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন নিজস্ব অর্থায়নে তার মরহুম পিতা আবদুল কাদের, মাতা মরহুমা জৈতুন নাহার এর নামে   জৈতুন নাহার কাদের মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। এই কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যেক্তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র জনাব আবদুল কাদের মির্জা ও কোম্পানীগঞ্জের বিশিষ্ট রাজনিতিবিদ ,বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব খিজির হায়াত খান সহ আরো অনেকে।

তিনি ১৯৯০সন  হইতে ১৯৯৯ সন পর্যন্ত  দীর্ঘ ৯ বছর কোম্পানীগঞ্জ থানা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ২০০০ সনে কোম্পানীগঞ্জের মাধ্যমিক শিক্ষকদের সহযোগিতায়  বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শাখা গঠন  করেন এবং তিনি  প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি বর্তমানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মোক্তব ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত রয়েছেন। ১৯৯৮ সনে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাধীন ফয়েজুননেছা আহমদ ফাউন্ডেশনের  শিক্ষা কর্মসূচীর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসাবে  ২০০৪ সন পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। বর্তমান তিনি উক্ত ফাউন্ডেশনের পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের  ফিমেল সেকেন্ডারী স্কুল এ্যাসিষ্টেন্ট প্রজেক্ট কর্তৃক ১৯৯৭ ও ২০০১ সালে ২ বার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নির্বাচিত হন।

নোটিশ বোর্ড
সবগুলো দেখুন